সর্বশেষ আপডেট : ১২ ঘন্টা আগে
সোমবার, ৬ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এখন খাদ্য গোডাউন!

করোনাভাইরাসের এ দুর্যোগকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার সাতদরগাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকটি শ্রেণিকক্ষ দখলে নিয়ে সেগুলো অনেকটা গুদাম হিসেবে ব্যবহার করছেন এক ধান ব্যবসায়ী। এমনকি শ্রেণিকক্ষের ভেতর চলছে ধান বেচাবিক্রিও। এতে রীতিমতো বিদ্যালয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

জানা গেছে, তিনটি শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের বসার বেঞ্চ গুটিয়ে রেখে সেখানে ধান রাখা হয়েছে। করোনাকালে এক বছরের বেশি সময় ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলামের ভাগ্নে কামরুজ্জামান নিজের ব্যবসার ধান সংরক্ষণের জন্য বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ব্যবহার করছেন।

বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, ‘প্রথমে বিষয়টি আমার জানা ছিল না। শারীরিক অসুস্থতার জন্য আমি কিছু দিন বিদ্যালয়ে যেতে পারিনি। পরে জানতে পেরে আমি নিজে উপস্থিত থেকে বুধবার রাতেই ধান সরানোর ব্যবস্থা নিয়েছি।’

বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ধান ব্যবসায়ী ব্যবহার করতে পারেন কি না- জবাবে প্রধান শিক্ষক দাবি করেন, ‘আমি জানতে পেরেছি, কামরুজ্জানের বাড়ির ধানে পোকার আক্রমণ হওয়ায় তারা সেগুলো শুকানোর জন্য বিদ্যালয় মাঠ ব্যবহার করছিলেন। এর মধ্যে বৃষ্টি শুরু হলে তারা শ্রেণিকক্ষে ধানগুলো রেখেছিলেন।’

তবে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে প্রধান শিক্ষকের এমন দাবির সত্যতা মেলেনি। তারা বলছেন, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ওই বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ধান মজুত করে তা বিক্রি করে আসছেন ব্যবসায়ী কামরুজ্জামান। এমনকি শ্রেণিকক্ষের ভেতর তিনি ধান মাপার পাল্লাও স্থাপন করেছেন।

স্থানীয় সংবাদকর্মী সুভাষ চন্দ্র জানান, বুধবার (৪ আগস্ট) তিনি নিজে ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে তিনটি শ্রেণিকক্ষে ধান দেখেছেন। কক্ষের ভেতর ধান মাপার পাল্লাও দেখেছেন তিনি। পরে এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তিনি দ্রুত ধান সরানোর জন্য ওই ব্যবসায়ীকে বলেন।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘করোনাকালে বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও সরকারি নির্দেশ মতে খোলার জন্য সার্বক্ষণিক প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে। এরপরও বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ধান মজুত রাখতে দেওয়া ওই প্রধান শিক্ষকের সম্পূর্ণ দায়িত্ব অবহেলার শামিল। আমি ওই রোস্টারের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা (এটিইও) ও প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে এখনই কথা বলছি। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষককে তলব করা হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: